৩ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তিন প্রতিবাদী নারী কণ্ঠ 'আনন্দী'

৩ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তিন প্রতিবাদী নারী কণ্ঠ 'আনন্দী'
সাজাহান সিরাজ :: বাংলা চলচ্চিত্রে একটি আসন্ন বাংলা ছবি 'আনন্দী'। প্রতিবাদী তিন নারী কন্ঠ ঝড় তুলেছে এই ছবিতে। ছবিটি পরিচালনা করছেন কুণাল ভান্ডারী এবং প্রযোজনা জেজে প্রোডাকশন। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রজতাভ দত্ত, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, জিতেন্দকুমার নাহার ও প্রিয়াঙ্কা রায়। এছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন দিলরাজ, অমিত কর্মকার, রভজিৎ ভৌমিক, রিয়া দাস, পায়েল দত্ত ও মৌমিতা অধিকারী প্রমুখ।
গায়িকা অদিতি সিং শর্মা (বলিউড), রুবেল খোন্দকার (বাংলাদেশ) এবং চয়ন দে, গীতিকার রঞ্জু রেজা (বাংলাদেশ) এবং সুদীপ ভট্টাচার্য l ছবির গল্প লিখেছেন জিতেন্দ্র কুমার নাহার এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন ইব্রাহিম শেখ।
সিনেমার গল্পের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে তিনজন নারী। তার মধ্যে মুখ্য চরিত্র আনন্দী , আনন্দী তার বাবার একমাত্র মেয়ে, আনন্দীর মা মারা যাওয়ার পর থেকে আন্দন্দী নিজের হাতে বাবাকে এবং পুরো সংসারের রাশ ধরে রাখে। বাবার অনেক স্বপ্ন মেয়েকে ভালো পাত্রের সাথে বিয়ে দেওয়া। কিন্তু আনন্দী অন্যদিকে বিশাল নামে একটি ছেলেকে ভালোবাসে, সে বিয়ের জন্য বাবার সাথে কথা বলতে বলে বিশাল কে,কিন্তু বিশাল এর চাকরি স্থায়ী না থাকায়, বিশাল আনন্দী কে বলে চাকরি পেলেই বাবার সাথে দেখা করবে । অন্য দিকে আনন্দী বিশাল এর সম্পর্কের ব্যাপারে আনন্দীর বাবা সনৎবাবু জানতে পেরে খুব ক্ষুব্ধ হন, এই কারণে সনৎবাবু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বিশাল সেখানে চলে যায়, অবশেষে সনৎবাবু বিশাল আনন্দীর সম্পর্ক মেনে নেয় এবং বিশাল চাকরি করতে চলে যায় ছয় মাসের জন্য বাইরে ।
অন্যদিকে আনন্দীকে সনৎবাবু মধুর সাথে বিয়ে করতে বাধ্য করে, কারণ আনন্দীর বিয়ের পর ওর বাবাকে কে দেখবে, এই কথা সব সময় কুরে কুরে খেতো আনন্দীকে। কিন্তু সব বদলে যায় বিয়ের ছয়মাস পর । বিশাল আনন্দী এবং তার বাবকে গত তিনদিন থেকে ফোনে না পাওয়ায় সুদূর হায়দ্রাবাদ থেকে ছুটে আসে, এবং আনন্দীর বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে সনৎবাবু আগেরদিন মারা গেছেন। আনন্দী বাবার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেনি বলে কোথাও চলে গেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশাল এর লড়াই শুরু এখান থেকে আনন্দীকে খোঁজার। বিশাল পুলিশ স্টেশনে যায় এবং পুলিশ স্টেশন এর বাইরে আলাপ হয় রোহিত এবং রাহুল এর সাথে । বিশাল জানতে পারে আরও দুজন মেয়ে রিমা এবং রিয়া একই দিন থেকে নিখোঁজ। রাহুল এর কাছে পুরো ঘটনা জানতে চাওয়ায় রাহুল বলে রিয়া পেশায় একজন উঠতি অভিনেত্রী, কাল অডিশন দিতে বেরিয়েছিল, তারপর থেকে রিয়ার ফোন বন্ধ। যোগাযোগ করতে পারছেনা । অন্যদিকে রোহিত এর স্ত্রী রিমার জন্মদিনের মাঝরাতে ঘর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। রোহিত সব কথা শুনে পুরো অঙ্কটা মেলাতে পারে, কারণ সব কিছুর পেছনে একটা লোক থাকছেই, কারণ আনন্দীর সৎ মামাও সে, রিয়া যে প্রোডাকশন এ অডিশন দিতে গেছিল সেই খানের প্রোডিউসারও তিনি ছিলেন, ওদিকে রোহিত এর বসও উনি। রিমার বাবার জন্মদিনেও উনি এসে ঝামেলা করেছেন পাওনা টাকার জন্য । তাই বিশাল রোহিত রাহুল তিনজন একত্রিত হয়ে ফাঁদ পাতে সেই লোকটার জন্য, সে আর কেউ না, উনি হলেন হরে কৃষ্ণ। হরে কৃষ্ণ অনেক প্রভাবশালী লোক, তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না থাকায় তারা শুরু করে তাদের লড়াই। তিনজনকে খুঁজে বের করার । অনেক খোঁজার পর জানতে পারে নতুন তিনটি মেয়েকে মুন্নি বাই এর কুঠিতে দেখা যায় ।এই কারণে পতিতালয়ে তারা গ্রাহক সেজে যায় । সেখানে কি ওদের পাওয়া যাবে ? না হরেকৃষ্ণের কাছে ধরা পড়ে যাবে রাহুল, বিকাশ আর রোহিত ? এসবের উত্তর পাওয়া যাবে সিনেমা হলে। আর তো মাত্র ক'টা দিন বাকি । চলে আসুন, আপনার বাড়ির কাছে সিনেমা হলে। দেখুন আনন্দী।
শুক্রবার, কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আনন্দীর পোস্টার লঞ্চ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক প্রযোজক সহ কলাকৌশলীরা।

Comments

Popular posts from this blog

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপিত

'রিদমিক ড্যান্স অ্যান্ড ফিটনেস্ স্টুডিও' র বার্ষিক অনুষ্ঠান যেন সপ্তাকাশে রামধনু