ভিন রাজ্যে আলু না যাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে হিমঘর মালিকদের
ভিন রাজ্যে আলু না যাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে হিমঘর মালিকদের
সাজাহান সিরাজ :: আলু ভিন রাজ্যে পাঠানোর উপর সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় সমস্যা বেড়েছে হিমঘর মালিকদের। প্রায় ৪ লক্ষ মেট্রিক টন আলু এখনও হিমঘরে মজুত রয়েছে। এই আলু রাজ্যের বাজারে তেমনভাবে চাহিদা না থাকলেও এর একটা বড় অংশ অন্য রাজ্যের চাহিদা মেটায়। কিন্তু সরকারের নির্দেশিকা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘরের সব আলু ফাঁকা করার। ফলে হিমঘরের মালিকরা পড়েছেন আরও সমস্যায়।
১৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে হিমঘর মালিক ও বড় ব্যবসায়ীদের সংগঠন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে জানানো হয়েছে, সরকারের এই বিধিনিষেধ উঠে না গেলে রাজ্যের এই মজুত আলু অন্য রাজ্যে যেতে পারবে না। অন্য রাজ্যের আলু এ রাজ্যে আসছে এখানকার আলু না যেতে পারলে এইসব হিমঘরের আলু অত্যন্ত কম দামে বাজারে বিক্রি হবে কিংবা পোচে নষ্ট হবে। আগামী দিনে আলু চাষিরা আলু চাষে অনিহা প্রকাশ করবে। তাঁরা জানান, এই ৪ লক্ষ মেট্রিক টন আলু পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি জেলার গোঘাট এবং পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা এলাকার হিমঘরগুলিতে মজুত রয়েছে। সেখানে সমস্যা অনেক বেশি।
সংগঠনের পক্ষে শুভজিৎ সাহা, পতিতপবন দে, লালু মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা জনান, খুচরো বাজারে আলুর চড়া দাম নিয়ে তাঁদের দায়বদ্ধতা নেই। হিমঘর থেকে ২৫ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বেরোচ্ছে। কলকাতার পাইকারি বাজারে ওই আলু আনতে পরিবহন খরচ পড়ে কেজিতে মাত্র এক টাকা। তাহলে খুচরো বাজারে কেন ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে তার কোন উত্তর সংগঠনের কাছে নেই। এ ব্যাপারে আমরা নিজেরাই সরকারকে জানিয়েছি। সরকারের সুফল বাংলায় আমাদের সংগঠন ২৫ টাকা কেজি দরে আলু পাঠাচ্ছে। সরকার আরও এক টাকা কমাতে বলেছে, আমরা সেটাও চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের এই বড় সমস্যা হিমঘরে মজুত ৪ লক্ষ মেট্রিক টন আলু অন্য রাজ্যে কিভাবে পাঠানো সম্ভব হবে সে ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
Comments