মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটালের উদ্যোগে জাতীয় ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উদযাপন
মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটালের উদ্যোগে জাতীয় ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উদযাপন
আলেফা বেগম : ৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উদযাপন করলো মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল। কলকাতার অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী এই সংস্থা, এদিন ক্যান্সার চিকিৎসায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে এক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করল। আলোচনার বিষয় ছিল 'আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এনজিও -র ভূমিকা'। শহরের বিভিন্ন নামী এনজিওর প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশ নেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছিলেন যথাক্রমে রোটারি, ফাইট ক্যান্সার, ক্যান্সার ফাইট ফাউন্ডেশন, যাদবপুর পেনশন ফাউন্ডেশন, গৌরী বাড়ি ওয়েলফেয়ার, ক্যানকিডস এবং দিনান্তে। এই আলোচনার সঞ্চালনা করেন প্রফেসর (ডাঃ) সুবীর গাঙ্গুলি, সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং অ্যাডভাইজার, রেডিয়েশন অনকোলজি। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যানসারকে হারিয়ে আসা মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এই বছরের জাতীয় ক্যান্সার সচেতনতা দিবসের থিম হল, 'প্রিভেনশন, দ্রুত ডিটেকশন এবং চিকিৎসা'। অর্থাৎ শরীরে নতুন কোন উপসর্গ দেখতে পেলেই চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় আসা। অনেক সময় দেখা যায় আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্যান্সার পরিষেবা নিতে পারেন না অনেকে। এখানে এনজিওরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। প্রাইভেট হসপিটালের সাথে একযোগে কাজ করে অনেক মানুষকেই চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার দিকটিতে সাহায্য করতে পারেন তারা। সাধারণত চিকিৎসার খরচের দিকটি তারা সাহায্য বা ভর্তুকি দেন রোগীর চিকিৎসার স্বার্থে।
এই আলোচনায় প্রফেসর ডাঃ সুবীর গাঙ্গুলি, বলেন, 'ক্যান্সারে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি যে এর মধ্যে অনেক মৃত্যুর কারণ হল চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা। অনেকের জন্য ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ সাধ্যের বাইরে, আর তাই চিকিৎসা বহন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। একাধিক এনজিও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে যাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কাছে ক্যান্সারের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এই সংস্থাগুলো স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে ফাঁক রয়েছে, সেগুলো পূরণ করতে পারে বিভিন্ন ভাবে, যার মধ্যে অন্যতম হল আর্থিক সাহায্য। প্রাইভেট হসপিটালের সাথে কাজ করতে গিয়ে তারা সস্তায় চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দিকটি দেখতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে বিনা পয়সায় স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা নিরীক্ষা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এনজিও -রা বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে ক্যান্সার নিয়ে। তারা রোগীর পাশে থেকে সাহায্য করা থেকে শুরু করে নিউট্রিশন নিয়ে পরামর্শ এবং যাতায়াতে সাহায্য করে রোগীদের।' এটা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন ডাঃ গাঙ্গুলী।
এনজিও প্রতিনিধিরা জানান, সচেতনতা বাড়লেও এখনো সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ কুসংস্কারাচ্ছন্ন। ফলে স্ক্রিনিং করার সুযোগও দেন না তারা। এমনকি ক্যান্সার ধরা পড়লে রোগীদের 'একা ঘরে' করে দেওয়া হচ্ছে এখনো। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
Comments