ব্রেন টিউমার মানে জীবনের শেষ নয়, নতুন করে বাঁচা
ব্রেন টিউমার মানে জীবনের শেষ নয়, নতুন করে বাঁচা
সাজাহান সিরাজ : ব্রেন টিউমার অস্ত্রোপচারে সাফল্যের পর সাফল্য এখন হাতের মুঠোয় মেডিকার। মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। মেডিকার নিউরো সার্জারি বিভাগ নিরলস ভাবে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় এক হাজার এক'শ জটিল ব্রেন টিউমারের অস্ত্রোপচার হয়েছে এই হাসপাতালে। শুধুমাত্র এ রাজ্য নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এমনকি নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের মতো সার্ক দেশগুলো থেকেও অনেক রোগী আসেন চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে।
মেডিকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর উদয়ন লাহিড়ী জানিয়েছেন, বিগত ১৪ বছর ধরে হাসপাতালের অভিজ্ঞ নিউরো সার্জেন্টরা সাফল্যের সাথে দেশ ও বিদেশের রোগীদের জটিল ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তিনি জানান, এই চিকিৎসায় বা অস্ত্রোপচারে কেবলমাত্র নগদ টাকায় নয়, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি মেডিকা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ২০ জন রোগী তাঁদের ব্রেন টিউমার অস্ত্রোপচারের পর তাঁদের নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার কাহিনী শোনালেন সাংবাদিকদের। এঁদের মধ্যে ছিলেন গৃহবধূ থেকে গৃহকর্তী, চাকরিজীবী থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া, এমনকি অফিসের দুঁদে আধিকারিকও। তাঁরা কেউ কেউ বলেছেন, ঈশ্বরকে দেখা যায় না কিন্তু এখানকার ডাক্তারবাবুদের মধ্যে তাঁরা স্বয়ং ঈশ্বরকে চাক্ষুষ করেছেন। তাঁদের আশীর্বাদেই তাঁরা জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন। এঁরা ছিলেন নম্রতা সিং, মিঠু দাম, চন্দনা ব্যানার্জি, শুভাশিস রায়, অরিন্দম দত্ত, শ্যামল কান্তি সাহা, সৌমেন বাগচী, দিপালী ঘোষ বিশ্বাস, স্বজনা রিঙ্কু গোমেজ প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সাফল্যের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি নিজেদের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা সাংবাদিকদের জানালেন, ডা: এল.এন. ত্রিপাঠী, ডা: হর্ষ জৈন, ডা: সায়ন দাস, ডা: প্রদীপকুমার মন্ডল, ডা: সুনন্দন বসু প্রমুখরা। তাঁরা বলেন, ব্রেন টিউমার মানে জীবন শেষ হয়ে যায় না। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা।
Comments