৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস

৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস
সাজাহান সিরাজ :: প্রচলিত আছে 'ক্যান্সার নো আনসার'। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে এই প্রচলিত কথার কোন গুরুত্ব নেই বললেই চলে। ক্যান্সার রোগীরা সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই সব রোগীরা জীবনের মূল স্রোতে ফিরে যেতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন সার্বিক সচেতনতা।
মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই উদ্যোগ নিয়েছেন। ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ভীতি দূর করে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তাঁরা রাজ্যব্যাপী কাজ শুরু করেছেন। এই মহতী কাজে রোটারি ক্লাব সহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেডিকা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এই উপলক্ষে সারা রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার রোগ সচেতনতা শুরু করছে মেডিকা কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ৬টি জায়গা চিহ্নিত করে কাজ শুরু করেছেন। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক, হুগলির আরামবাগ ও শ্রীরামপুর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত ও দমদম, মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে এই ক্যান্সার রোগ সচেতনতা এবং রোগ নির্মূলিকরণে কাজ করছে মেডিকা।

 বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেসক্লাবে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান, মেডিকা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এবং পরিচালক মন্ডলী। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার সুবীর গাঙ্গুলী, ডাক্তার অরুনাভ রায়, ডাক্তার সায়ন দাস, ডাক্তার পূজা আগারওয়াল, ডাক্তার সৌমিত্র ভরদ্বাজ, ডাক্তার প্রদীপকুমার মন্ডল প্রমুখ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এবারের স্লোগান 'ক্যান্সার আশঙ্কা-ভয় তুচ্ছ করে জিতব লড়াই মনের জোরে'।

 সাংবাদিক সম্মেলনে ডাক্তার সুবীর গাঙ্গুলী জানান, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের হার বেশ উদ্বেগ জনক। এরমধ্যে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি। ডাক্তার গাঙ্গুলীর মতে পরিকাঠামো, সচেতনতা ও চিকিৎসার অপ্রতুলতার জন্য গ্রামীণ মানুষ ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি জানান, গ্রামের রোগীরা শেষ সময়ে শহর হাসপাতালগুলিতে আসেন, তখন চিকিৎসকদের করার কিছু থাকে না। তিনি আরো জানান, মেডিকা কর্তৃপক্ষ ক্যান্সার রোগী এবং তার পরিবারদের বিনা ব্যয়ে "মনোবিনা ক্লিনিক" এর মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন। 

 দেশে লোকসভা ভোট আসন্ন। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার সংসদে তাদের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছে। এই বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে দেশের সব স্কুলগুলিতে ১৪-১৫ বয়সী প্রতিটি ছাত্রীকে ক্যান্সার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দিবে সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রধান চিকিৎসক অরুনাভ রায় বলেছেন, সরকারের এই পরিষেবা কার্যকর হলে মেয়েদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের হার অনেকখানি কমানো সম্ভব হবে।

Comments

Popular posts from this blog

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপিত

৩ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তিন প্রতিবাদী নারী কণ্ঠ 'আনন্দী'

'রিদমিক ড্যান্স অ্যান্ড ফিটনেস্ স্টুডিও' র বার্ষিক অনুষ্ঠান যেন সপ্তাকাশে রামধনু