ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় কলকাতায় জাতীয় সংগঠনের ঘোষণা ডিগনিটি'র

ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় কলকাতায় জাতীয় সংগঠনের ঘোষণা ডিগনিটি'র

আলেফা বেগম ::  ২১ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বজুড়ে বিশ্ব অ্যালজাইমার্স দিবস উদযাপিত হলো। এর প্রাক্কালে কলকাতায় নিজেদের পঞ্চম ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করল ডিগনিটি ফাউন্ডেশন। ২০ সেপ্টেম্বর এই ঘোষণার পাশাপাশি, একই দিনে শুরু হলো ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ডিমেনশিয়া কেয়ার (এনএডিসি)-এর পথ চলা।এর মূল লক্ষ্য ডিমেনশিয়া সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগীদের যত্নের মান নিশ্চিত করা এবং অ্যালজাইমার্স-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার জন্য নিয়ম-নীতির  মান বাড়ানো।‌  এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিগনিটি ফাউন্ডেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর তথা প্রখ্যাত সমাজকর্মী ও বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়,  সংগঠনের ট্রাস্টি গোপাল শ্রীনিবাসন, দ্য রসোই গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্পিতা ভট্টাচার্য, ডিগনিটি ফাউন্ডেশনের কলকাতা চ্যাপ্টারের প্রধান রুমা চ্যাটার্জি এবং প্রখ্যাত জেরন্টোলজিস্ট সুদেষ্ণা সাহা।
বর্তমানে ভারতে ডিমেনশিয়া কার্যত মহামারীর রূপ নিয়েছে। ল্যানসেট পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি'র রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ১১.৪৪ মিলিয়ন ভারতীয়র এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩.৮৪ মিলিয়নের কিছু বেশি। মস্তিস্কের এই ধরনের রোগের সঠিক চিকিৎসা আজও দুর্লভ হওয়ায়, এর উপশমে যা সবচেয়ে বেশি জরুরি তা হল রোগীদের বিশেষ যত্ন-আত্তি। তবে এই সংক্রান্ত ব্যবসায়িক কেন্দ্রই হোক বা সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত, সেগুলি সবই আজও ভারতে অত্যন্ত দুর্লভ। 
গত ২৮ বছর ধরে ভারতের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকমূলক কাজ করে চলেছে ডিগনিটি ফাউন্ডেশন। অ-লাভজনক এই সংস্থা মূলত অ্যালজাইমার্স এবং ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যই বিশেষভাবে সচেতন। 
এই মুহূর্তে ভারতের মোট পাঁচটি রাজ্যে এই সংগঠনের কেন্দ্র রয়েছে এবং সেগুলি হল চেন্নাই, মুম্বই, পুনে, নতুন দিল্লি এবং নতুন সংযোজন কলকাতা।
এই কেন্দ্রের আবাসিক সদস্যরা তাঁদের অধিকাংশ সময়ই কাটান বিভিন্ন ফলপ্রসূ কাজের মধ্যে দিয়ে। যার মধ্যে থাকে শরীর-চর্চা,থেরাপি সেশন, ছবি আঁকা ও রং করা, বিভিন্ন খেলাধুলো এবং গান শোনা ইত্যাদি। ডিগনিটি ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ড.শিলু শ্রীনিবাসন বলেন, 'কলকাতায় এই কেন্দ্র স্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এখানে সদস্যরা কেবল প্রয়োজনীয় যত্ন-ই পাবেন না বরং একদম শুরু থেকেই যাতে বয়স্ক মানুষরা এই রোগ নির্ণয় করার পাশাপাশি তার সঠিক নিরাময়ও শুরু করতে পারেন, সেই বিষয়েও সচেতনতা তৈরি করব আমরা।'

Comments

Popular posts from this blog

পুজো ছোটো ভাবনা বড়ো। আদর্শ পল্লীর আদর্শ পুজো।

কলকাতা কাঁপাতে এলেন ভারতনাট্যমের বিশ্বখ্যাত নৃত্যশিল্পী গীতা চন্দন

মিলনবাজারে অঙ্কন উৎসব