নকল পানীয়জলের রমরমা ঠেকাতে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি

 নকল পানীয়জলের রমরমা ঠেকাতে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি 


সাজাহান সিরাজ : জলই জীবন । জলেই মরণ । অসতর্ক হলেই জলই কেড়ে নিতে পারে জীবন । তাই আমাদের সুস্থ ও নিরোগ থাকতে প্রয়োজন নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানীয় জল । ওয়েস্ট বেঙ্গল প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার মানুফ্যাকচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানীয়জলের পরিবর্তে নকল পানীয়জলের রমরমায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । ওই সংস্থার কর্ণধাররা সম্প্রতি কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে সাড়ে চার'শ অনুমোদিত পানীয়জলের কারখানা থাকলেও সেখানে কুড়ি হাজারেরও বেশি বেআইনি নকল পানীয়জল তৈরীর কারখানা গজিয়ে ওঠায় রাজ্যের মানুষের, বিশেষ করে যারা প্যাকেজড্ জলের উপর নির্ভর করেন তাদের ভঙ্ককর স্বাস্থ্যহানীর উপক্রম হচ্ছে । এর ফলে জলবাহিত নানান অসুখ-বিশুখ সমাজে বাসা বাঁধছে বলে তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন।


এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব নাগ, সহ-সভাপতি ড. হরিন্দর সিং, চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র সুরানা, সম্পাদক নবীন জয়রামকা, সুকমল পাল, সুদীপ ঘোষ প্রমুখ।

সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্যই হল বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানীয়জল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে জলবাহিত রোগ এড়াতে নাগরিকদের পাশে থাকা এবং তারা যাতে বিশুদ্ধ পানীয়জলের উপর নির্ভর করে সেব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে কাজ করতে আগ্রহী ডব্লিউবিপিডিডব্লিউএম ডব্লিউএ ।


সংগঠনের সম্পাদক নবীন জয়রামকা অভিযোগ করেছেন, যেকোনো লেভেল বা অতিরিক্ত খনিজকরণ এবং পরিশোধন ছাড়াই কুড়ি লিটারের জার তৈরি এবং বিক্রি করা হচ্ছে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকাগুলিতে এর ফলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও আস্থা উভয় ক্ষেত্রেই ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে । এই জালিয়াতি ২০ লিটার জারগুলি বাংলার প্যাকেজ যুক্ত পানীয় জল বাজারে প্রায় ৯০% দখল করে ফেলেছে । ফলে সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র পানিয়জল খেয়ে অজান্তে নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছে । 

এই সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও প্রধান সচিবের তত্ত্বাবধানে টাস্কফোর্স গঠন করে এই নকল পানীয়জলের বিপদ থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর আবেদন করেছে ।

Comments

Popular posts from this blog

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপিত

৩ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তিন প্রতিবাদী নারী কণ্ঠ 'আনন্দী'

'রিদমিক ড্যান্স অ্যান্ড ফিটনেস্ স্টুডিও' র বার্ষিক অনুষ্ঠান যেন সপ্তাকাশে রামধনু