শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না। নওশাদ সিদ্দিকী।
শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না। গণপিটুনিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন, লক্ষ্য করে দেখবেন প্রত্যেকেই মুসলমান-দলিত-আদিবাসী, পিছড়ে বর্গের মানুষ। তাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত। তারাই টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙা বিডিও কার্যালয় সন্নিকটে এক জনসভায় একথা বলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। আমডাঙা কে এস এইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে এই সভা আয়োজিত হয়। নওসাদ সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ১০ হাজার মাদ্রাসা তৈরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? সেই মাদ্রাসাগুলি তো হলই না। যে ৬১৪টি মাদ্রাসা আছে তার পরিকাঠামোর উন্নতিও সরকার করছে না। সেখানে শূন্যপদ পূরণ করছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধু নীল-সাদা রঙ করা নয়। শিক্ষাদানের পরিবেশের উন্নতি, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত বজায় রাখাকেও বোঝায়। সেটা করতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি আরো বলেন, আমরা হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত উন্নত সমাজ চাই। আমরা চাই শিক্ষিত সমাজ। এই সমাজের মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারা সহজেই হিংসার শিকার হবে না। সেইজন্য মাদ্রাসা পরিচালন সমিতিতে আইএসএফের প্রতিনিধি থাকলে সুষ্ঠু, দুর্নীতিমুক্ত ভাবে মাদ্রাসার কাজকর্ম চলবে।
এই সভায় তিনি আবারও কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে হওয়া চিকিৎসকের ওপর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
আমডাঙা কেএসএইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন আগামী ২২ তারিখ, রবিবার। এই নির্বাচনে আইএসএফের ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। ৫ নম্বরে মোহঃ ফারুক উদ্দিন মণ্ডল, ৬ নম্বরে নূর হোসেন মণ্ডল, ৭ নম্বরে হাবিবুর রহমান আকুঞ্জি, ৮ নম্বরে সাইদুল ইসলাম, ১০ নম্বরে মোহঃ আব্দুল আজিম ও মহিলা সংরক্ষিত ২ নম্বরে সারিকা পারভীন বিবি প্রার্থী রয়েছেন।
আজকের এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দলের উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, জামির হোসেন প্রমুখ সহ আমডাঙ্গা অঞ্চলের আইএসএফ নেতৃত্ব।
Comments