উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে "ভূতের রাজা দিল বর" নতুন বাঙালি রেস্তোরাঁ

উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে "ভূতের রাজা দিল বর" নতুন বাঙালি রেস্তোরাঁ
সাজাহান সিরাজ :: নতুন বাংলা বছরের শুরুতে খাদ্য রসিক বাঙালির সামনে উপস্থিত "ভূতের রাজা দিল বর" নতুন বাঙালি রেস্তোরাঁ। উত্তর কলকাতার হাতিবাগানের স্টার থিয়েটারের ঠিক পাশে, ৬ নম্বর নটী বিনোদিনী সরণিতে ঐতিহ্যের গলাগলীর সহাবস্থান। এই "ভূতের রাজা দিল বর" নতুন রেস্তোরাঁর পথ চলা শুরু হলো রবিবার, ৭ এপ্রিল। এটি তাদের একাদশতম শাখা।সংস্থার অধিকর্তা রাজীব পাল জানান, উত্তর কলকাতার খাদ্য রসিক বাঙালির কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়াই অনেক দিনের লক্ষ্য ছিল। আজ সেই লক্ষ্য পূরণের সূচনা হলো। ভূতের রাজা, শুন্ডির রাজা এবং হীরক রাজা - এই তিন রাজারই উজ্জ্বল উপস্থিতি তিন তলা বিশিষ্ট এই রেস্টুরেন্ট - রেস্তোরাঁর স্বতন্ত্র্য। বাঙালির নিজস্ব রান্নাঘরের সুক্তো থেকে মোচার ঘন্ট, মাছের চপ, ভেটকি পাতুরি, চিংড়ি মালাই, কষা মাংস, মুরগির মনোহরা, পোলাও, বিরিয়ানি, পাঁপড়, হরেক রকম চাটনি, মিষ্টি দই, রসগোল্লা সবই থাকবে। শুরু হবে আমপানা সরবত দিয়ে। আম বাঙালি সস্তায় কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার সুযোগ পাবেন উত্তর কলকাতার এই "ভূতের রাজা দিল বর" রেস্তোরাঁয়। 
"ভূতের রাজা দিল বর" -এর ভোজে পরম আকর্ষণীয় বৈশাখী থালি, হল্লা রাজার কাঁকড়া থালি, মেছো ভুতের পঞ্চ প্রীতি, বাঘার থালি, গুপীর থালি, আরো কত কি ! স্বাদ-গন্ধ-বর্ণের এক অপরূপ সমাহার। খাদ্য রসিক বাঙালির কাছে এ এক পরম তৃপ্তি। শুধু বাংলা নববর্ষের পয়লা বৈশাখেই নয়, সারা বছর বাঙালির প্রিয় রান্না পরিবেশন করবে এই রেস্তোরাঁ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য, কৌতুক শিল্পী মীর আফসার আলী, সঙ্গে ছিলেন 'আবার অরণ্যে দিন রাত্রি' ছায়াছবির পরিচালক সুমন মৈত্র, অভিনেত্রী পায়েল সরকার, অলিভিয়া সরকার, রূপসা মুখোপাধ্যায় ছাড়াও বহু অভিনেতা অভিনেত্রীর সোনালী উপস্থিতি।

Comments

Popular posts from this blog

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপিত

৩ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তিন প্রতিবাদী নারী কণ্ঠ 'আনন্দী'

'রিদমিক ড্যান্স অ্যান্ড ফিটনেস্ স্টুডিও' র বার্ষিক অনুষ্ঠান যেন সপ্তাকাশে রামধনু