অ্যালেন কলকাতার মেগা ওরিয়েন্টেশনে ৫০০০ ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক

অ্যালেন কলকাতার মেগা ওরিয়েন্টেশনে ৫০০০ ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক 
 সাজাহান সিরাজ :: ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য সারাদেশে সুপরিচিত এবং বিখ্যাত অ্যালেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট। 
রবিবার কলকাতায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এক মেগা ওরিয়েন্টেশন সেশন এর‌ আয়োজন করা হয়। এই অধিবেশনে প্রায় ৫০০০ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও অ্যালেন প্রার্থনার মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়। এর সাথে অ্যালেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটের ৩৫ বছরের জয় যাত্রার চিত্র তুলে ধরা দেওয়া হয়। এতে অ্যালেনের ফলাফল এবং তার সামাজিক উদ্দেশ্যের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়।

অধিবেশনে, অ্যালেনের সিএও সি.আর চৌধুরী বলেন, অ্যালেন তার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করছে। অ্যালেনের জন্য, শিক্ষার্থী হল তার প্রতিটি কাজের কেন্দ্রে, যা কিছু পরিবর্তন করা হয় তা ছাত্রের উন্নতির জন্য করা হয়। অ্যালেন গ্যারান্টি দেয় যে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার যোগ্যতা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো শিক্ষক পাবে। যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, তাদের ক্লাস কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে, ক্লাস শুরু হওয়ার পর কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত তা জানা জরুরি। এ লক্ষ্যেই ওরিয়েন্টেশনের সেশন আয়োজন করা হচ্ছে। অ্যালেনের লক্ষ্য মূল্যবোধের সাথে সাথে শিক্ষা প্রদান করা। অ্যালেনের নামের সাথে কেরিয়ার শব্দটি যুক্ত রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য হল ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনের উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের আরও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে তারা পরিবার, সমাজ ও দেশের সেবা করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

এই অনুষ্ঠানে জোনাল হেড রজনীশ শ্রীবাস্তব বলেন, অ্যালেন দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য একটি নতুন মাত্রা হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে ও খুব অল্প সময়ে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে । একটি গাছের বেড়ে ওঠার জন্য যেমন সার, আলো এবং জলের প্রয়োজন, তেমনি একজন শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় ইতিবাচক পরিবেশ এবং সেরা শিক্ষা দরকার, সেটাই অ্যালেন প্রদান করছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গপুরে এরাজ্যে প্রথম যাত্রা শুরু করে অ্যালেন । তারপর শিলিগুড়ি এবং পরে কলকাতায়। বর্তমানে কলকাতায় চারটি শাখা গড়ে উঠেছে।

এই অনুষ্ঠানে অ্যাডমিন হেড দেবাশীষ সান্যাল বলেন, শিক্ষা ও সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি অ্যালেন প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিবারের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করে এবং যতক্ষণ না সে তার ক্যারিয়ার গড়ে তোলে ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে নিরাপদ পরিবেশ প্রদানের জন্য কাজ করে। ক্লাসের পর শিক্ষার্থীর কোনো প্রয়োজন থাকলে তাও পূরণ করা হয়। একজন শিক্ষার্থীর প্রতিটি প্রয়োজনই অ্যালেনের প্রয়োজন এবং অ্যালেন তা পূরণ করলেই সন্তুষ্ট হয়।

Comments

Popular posts from this blog

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপিত

৩ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তিন প্রতিবাদী নারী কণ্ঠ 'আনন্দী'

'রিদমিক ড্যান্স অ্যান্ড ফিটনেস্ স্টুডিও' র বার্ষিক অনুষ্ঠান যেন সপ্তাকাশে রামধনু